যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ভয়াবহ দাবানলে পুড়ে গেছে ৭২ হাজার একরের বেশি এলাকা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছেন সহস্রাধিক দমকলকর্মী। ইতোমধ্যে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন।
গত শুক্রবার বিকালে লস প্যাড্রেস ন্যাশনাল ফরেস্ট এলাকায় দাবানলটি শুরু হয়। এরপর থেকে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে স্যান্টা বারবারা ও স্যান লুইস ওবিসপো কাউন্টিসহ আশপাশের অঞ্চলে। ক্যাল ফায়ারের তথ্যমতে, সোমবার পর্যন্ত ৭২ হাজার ৪৬০ একর এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশই নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
ঘন ঝোপঝাড় ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আগুনের মূল বিস্তার হলেও প্রায় ৪৬০টি স্থাপনা এখনো সরাসরি হুমকির মুখে রয়েছে। বিশেষ করে ঘাসে ভরা এলাকাগুলোতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
হাইওয়ে ১৬৬ আগুনের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, কারণ রাস্তাটির উভয় পাশেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে, স্যান্টা বারবারা ও স্যান লুইস ওবিসপো কাউন্টির বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরানোর নির্দেশনা বহাল রয়েছে।
এ দাবানলে এখন পর্যন্ত তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বেসামরিক নাগরিক দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন, আর বাকি দুজন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মী, যারা ইউটিভি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্যান্টা বারবারা কাউন্টি বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত কুইয়ামা ও আশপাশের এলাকাগুলোতে বায়ুমান সতর্কতা জারি থাকবে। সংস্থাটি জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “যদি ধোঁয়া দেখেন বা গন্ধ পান, তাহলে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। হৃদরোগী, শ্বাসকষ্টে ভোগা ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী ও শিশুরা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন।”
এ দাবানলের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে ক্যাল ফায়ার।
‘গিফোর্ড’ দাবানল ‘মাদ্রে’ দাবানলের পাশেই ঘটছে, যেখানে ৮০ হাজার একর এলাকা পুড়ে যাওয়ার পর আগুনটি গত ২৬ জুলাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
সোমবার দুপুরে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় আরও দুটি দাবানলের সূত্রপাত হয়। রিভারসাইড কাউন্টিতে ‘রোসা’ দাবানলে ইতোমধ্যে ১,২০০ একরের বেশি এলাকা পুড়ে গেছে। আর স্যান বার্নার্ডিনো কাউন্টিতে ‘গোল্ড’ দাবানল এখন পর্যন্ত ৩৪৮ একর এলাকা গ্রাস করেছে এবং এটি এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।