নির্বাচনের খসড়া কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত, শিগগিরই রোডম্যাপ দিবেন : ইসি

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনার খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে এবং চলতি সপ্তাহেই পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

তিনি বলেন, এবারে কেন্দ্র না বাড়িয়ে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ভোটকক্ষভিত্তিক ভোটার সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগেরও কোনো কারণ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সোমবার নির্বাচন ভবনে মাঠ কর্মকর্তাদের সমন্বয় নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসি সচিব। তিনি জানান, কর্মপরিকল্পনার খসড়া কমিশনে দেওয়া হয়েছে, অনুমোদন সাপেক্ষে চলতি সপ্তাহেই প্রকাশ করা হবে।

আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা তো আরও পরের ব্যাপার। আমাদের কনসার্ন হওয়ার এই মুহূর্তে কোন কারণ আছে? আমরা আমাদের জিনিসটা গুছিয়ে নিচ্ছি, যে যার জায়গাটাকে গুছিয়ে নিলেই তো হয়ে যাবে।”

তিনি জানান, মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়, দায়িত্ব বণ্টন, ফোকাল পার্সন নির্ধারণ, নির্দেশনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বৈঠক চলছে।

সীমানা আপত্তি শুনানি রোববার
৩০০ আসনের মধ্যে ৮৩টি আসন নিয়ে দেড় সহস্রাধিক দাবি-আপত্তি এসেছে। এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, “সীমানা নির্ধারণের যেসব আপত্তি এসেছে, ২৪ অগাস্ট থেকে শুনানি শুরু করব। একটানা চারদিন চলবে এবং এটাকে ফাইনালাইজ করব।”

ভোটকেন্দ্র ও বুথ পরিকল্পনা
এবার প্রায় পৌনে ১৩ কোটি ভোটার থাকবে। গত নির্বাচনে ১২ কোটির বেশি ভোটারের জন্য ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্র ছিল। এবার ভোটকেন্দ্র না বাড়িয়ে কীভাবে সমন্বয় করা যায়, সে বিষয়ে পরিকল্পনা করছে ইসি।

আখতার আহমেদ বলেন, “ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে না। তবে যৌক্তিক কারণে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।”

প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি কেন্দ্রের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “পুরুষদের জন্য প্রতি বুথে ৫০০ জন ভোটারের পরিবর্তে ৬০০ জনকে রাখা গেলে সমন্বয় সম্ভব হতে পারে।”

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখনো পর্যন্ত আমাদের আলোচনায় আসেনি। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত হলে তা হবে।”

২২ দলের তদন্ত শুরু
নিবন্ধন প্রত্যাশী ২২টি দলের অফিস ও কমিটির তদন্ত শুরু হয়েছে। সচিব বলেন, “যারা প্রাথমিকভাবে বাছাই হয়েছে তাদের তদন্ত মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। যাদের আবেদন বাতিল হয়েছে তাদের স্পষ্ট করে কারণ জানানো হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রের নীতিমালা স্থির নয়, পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে।