রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুদফা হামলায় ভবনের নিচতলার একটি অংশ পুড়ে যায়।
দেশের কয়েক জেলায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে।
শুক্রবার দলের সভাপতি নুরুল হক নুরকে লাঠিপেটায় আহত করার ঘটনার প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শেষে প্রথম দফায় মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা চালায়। বাইরে থেকে ভাঙচুরের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এর এক ঘণ্টা পর দ্বিতীয় দফায় জাতীয় পার্টি কার্যালয়ের উল্টো দিকের গলি থেকে এসে আবারও হামলা চালানো হয় এবং আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ তখন জলকামান দিয়ে আগুন নেভায় এবং হামলাকারীদের পিছু হটতে বাধ্য করে।
ঘটনার সময় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন। হামলার পর ভবন এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে জাতীয় পার্টির কোনো নেতাকর্মীকে সেখানে দেখা যায়নি।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী এ হামলার জন্য গণঅধিকার পরিষদকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “গতকালের ঘটনার জের ধরে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা দলবল নিয়ে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, আগুন ও ভাঙচুর চালাচ্ছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ কর্মসূচি বিকেল ৪টা থেকে বিজয়নগরে তাদের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মিছিল করে পল্টন, জাতীয় প্রেস ক্লাব, মৎস্যভবন হয়ে সন্ধ্যায় কাকরাইল কার্যালয়ের সামনে এলে পুলিশের বাধায় তারা সরে যায়। কয়েক মিনিট পর ঘুরে এসে হামলা চালায়।
রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, “ওদের একটা কর্মসূচি ছিল, কর্মসূচি শেষে ওরা আগুন দিয়েছিল। পরে আমরা তাদের সরিয়ে দিয়ে আগুন নিভিয়ে দিয়েছি। এখন পরিবেশ শান্ত।”
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গণঅধিকার পরিষদের মিছিল থেকে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে রাতে মশাল মিছিল শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।