ডাকসু নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে ছাত্রদলের বিক্ষোভ, শিবিরের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের সামনে স্লোগান দেন ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। এ সময় কেন্দ্রের সামনে অবস্থানরত ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা অভিযোগ করেন, ছাত্রদল ‘মব’ সৃষ্টি করে গোলমাল বাধানোর চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন নির্বিকার ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

কেন্দ্রটির সামনে অবস্থানরত তিন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাত আটটার দিকে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান কিছু নেতা–কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে এ কেন্দ্রের সামনে আসেন। ঠিক তখনই এখানকার এলইডি স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা হইচই শুরু করেন এবং ‘ভোট চোর’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় আগে থেকেই সেখানে অবস্থানরত শিবিরের কর্মীরা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পরে এলইডি স্ক্রিন আবার চালু হলে তাঁরা এই কেন্দ্রের সামনে থেকে পাশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাব কেন্দ্রে চলে যান।

আরও দুজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা হঠাৎ কেন্দ্রের সামনে এসে ‘ভোট চোর, ভোট চোর’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে শিবিরের নেতা–কর্মীরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। কিছুক্ষণ পর ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা সরে গিয়ে অন্যত্র চলে যান।

এ বিষয়ে ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম বলেন, তাঁদের একজন এজেন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাব কেন্দ্র থেকে জানিয়েছেন, কিছু ব্যালট আলাদা করে রাখা হচ্ছে। শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যার কারণে ওই ব্যালটগুলো আলাদা রাখা হয়েছে। তবে ছাত্রদলের এজেন্টের ধারণা, ওই সব ব্যালটে তাঁদের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট পড়েছে। তাই বিষয়টি দেখতে তাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন।

ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ক্লাব—এই দুই কেন্দ্রে শামসুন্নাহার হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ–কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন।

ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা চলে যাওয়ার পর ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নিতে থাকেন শিবিরের নারী নেতা–কর্মী ও স্বতন্ত্র প্যানেলের সমর্থকেরা।