ফ্রান্সে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেলেন সেবাস্টিয়ান লুকোনু

ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঘনিষ্ঠ মিত্র সেবাস্টিয়ান লুকোনুর নাম ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ। আস্থাভোটে আগের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বায়রুর পরাজয়ে সরকার পতনের ২৪ ঘণ্টা পর নিয়োগ পেলেন সেবাস্টিয়ান।

৩৯ বছর বয়সী প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্টিয়ান প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর দীর্ঘদিনের মিত্র। তিনি ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি প্রচারে তাকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় মাক্রোঁর অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির ধারা অব্যাহত থাকবে—তেমন আভাসই পাওয়া যাচ্ছে।

ফ্রান্সের এলিসি প্রাদাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ফ্রান্সের পরবর্তী বাজেট গ্রহণের লক্ষ্য নিয়ে সেবাস্টিয়ানকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তার পূর্বসূরি ফ্রাঁসোয়া বায়রু এই বাজেট পরিকল্পনার বিরুদ্ধেই ব্যাপক বিরোধিতার মুখে অচলাবস্থা নিরসনে আকস্মিকভাবে আস্থাভোট আহ্বান করেছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীকে উৎখাত করা এবং তার সংখ্যালঘু সরকারকে টেনে নামাতে পার্লামেন্টে ভোট হয়। এমপিদের ৩৬৪-১৯৪ ভোটে হেরে যান বায়রু।

বায়রু তার সরকারের ব্যয় কমানো এবং ঋণের বোঝা সামাল দেওয়ার পরিকল্পনার পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন আস্থাভোট ডেকে। তবে বিরোধী দলগুলো আগেই বলেছিল তারা তাকে সমর্থন করবে না। এই পরিস্থিতিতে আস্থাভোটে বায়রুর হার অবশ্যম্ভাবী ছিল।

তার পরাজয়ের ফলে দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁকে নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে হল। নতুন সরকারের সবচেয়ে গুরুদ্বায়িত্ব হবে বাজেট পাস করা। ফলে নতুন প্রধানমন্ত্রীও বায়রুর মতো একই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন।