জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ — জাকসু ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ কিছু শঙ্কা প্রকাশ পেয়েছে। প্রশাসন বা নির্বাচন কমিশন ভোটার সংখ্যার অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপিয়েছে। যদি কারও ভোট দিতে ভুল হয় তবে সেটা বাতিল করে আরেকটি ব্যালট পেপার দেয়া হবে। কর্তৃপক্ষ তাই ব্যাখ্যা দিয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
একজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “প্রশাসন কীভাবে ধরে নিল শতভাগ ভোটার উপস্থিত থাকবেন? মোট ভোটারের তুলনায় ১৪০০টি অতিরিক্ত ব্যালট ছাপানো হয়েছে। ৭০ শতাংশ ভোট পড়লেও সাড়ে আট হাজার ব্যালট প্রয়োজন, বাকি সাড়ে পাঁচ হাজার ব্যালট কীসের জন্য?”
তার আরও প্রশ্ন: “স্বয়ংক্রিয় ভোট গণনায় ম্যানিপুলেশন হবে না, এর গ্যারান্টি কী? প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট রাখা হচ্ছে না, তাহলে স্বচ্ছতা কীভাবে নিশ্চিত হবে?”
নারী হলগুলোতে শুধু নারী সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থী বলেন, “নির্বাচন একটি উৎসব, নিচের ফ্লোরে ভোট দিতে নারীরা কেন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে? মানলাম, কেউ বিব্রত বোধ করতে পারেন, কিন্তু এই নিয়ম আগে জানানো হয়নি কেন? বেশিরভাগ মিডিয়ায় পুরুষ সাংবাদিক কর্মরত রয়েছেন, আর ক্যাম্পাসে নারী সাংবাদিক প্রায় নেই। এই অবস্থায় আমি ছাত্রী হলগুলোতে ভোট কারচুপির আশংকা করছি।”
তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন এবং উপাচার্যের ওপর আমরা পুরোপুরি ভরসা করতে পারছি না।”