ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার এস এন নজরুল ইসলাম নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ঢাকার কোনো ফ্ল্যাট, মেস, ছাত্রাবাস বা হোটেলে যদি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করেন, তা পুলিশকে জানাতে।
তিনি বলেছেন, কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ একটি সংগঠনের কর্মীদের বিষয়ে তথ্য দেওয়া প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। বুধবার ঢাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের সময় ২৪৪ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি স্বৈরাচারের থাবা থেকে মুক্ত হয়ে স্থিতিশীল অবস্থায় এসে একটি সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এসময় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সদস্যরা অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
“রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ডিএমপি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি নগরবাসীও সহায়তা করছে। আজকে তারা আমাদের বেশ ভালোভাবে সহায়তা করেছে। এই সহায়তা যেন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকে সেজন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন। বিশেষ করে বিভিন্ন ফ্ল্যাটে, আবাসিক হোটেলে, ছাত্রাবাসে এবং এ সমস্ত জায়গায় যদি নিষিদ্ধ সংগঠনের লোকজন জমায়েত হয়ে থাকে বা কোনো অপতৎপরতা করে, তাহলে আপনারা আমাদের আগাম জানাতে পারেন।
“তাহলে আমরা আরও কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে পারবো। তাদের আইনের আওতায় নেওয়া সম্ভব হবে।”
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চাপে রয়েছে ঢাকার পুলিশ। মিছিলে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পুলিশের কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে এলাকায় মিছিল হবে, সেই এলাকার কর্মকর্তারা শাস্তি পাবেন—গত সপ্তাহে ডিএমপি কমিশনারের এমন বার্তার পর মাঠে বেড়েছে ঝটিকা মিছিলবিরোধী পুলিশি কার্যক্রম।
শুক্রবার দুপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলাকালে মাঠে না থেকে থানায় অবস্থান করায় মোহাম্মদপুরের এক সহকারী কমিশনারসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি থানা এলাকায় ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি ডিবি, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরাও কাজে লাগানো হচ্ছে।
এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, “যারা মিছিলকারীদের বা কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের অবস্থান জানাতে পারবে তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। আর তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার পর গ্রেপ্তার হলে মিছিলের সংখ্যা কমে আসবে।”