ডেঙ্গু: জ্বর হওয়া মাত্র পরীক্ষা ও চিকিৎসা নেওয়ার আহ্বান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জ্বর শুরু হওয়া মাত্র ‘এনএস-ওয়ান’ পরীক্ষা করানোর মাধ্যমে ডেঙ্গু শনাক্ত করার অনুরোধ করেছে। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।

রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গুতে ৯ জন মারা গেছেন এবং ১,০৪২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের এক দিনে মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এই সংখ্যা সর্বোচ্চ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৃত ৯ জনের মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে ভর্তির প্রথম দিনেই মারা গেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মূলত হাসপাতালে আসতে দেরি হওয়ায় ডেঙ্গু রোগ জটিল আকার ধারণ করেছে। এই কারণে তাদের চিকিৎসা দেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ছিল না।

“বাকি ২ জনের মধ্যে ১ জন ভর্তির পর দিন মারা গেছেন। দেরিতে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে উপস্থিত হওয়ার কারণে জটিল রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় জ্বর শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো এবং রোগ শনাক্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে,” বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, ডেঙ্গু চিকিৎসায় স্বাস্থ্য বিভাগ অত্যন্ত সতর্ক ও তৎপর। সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরীক্ষার কিট, স্যালাইন এবং ওষুধ মজুত রয়েছে। মৃত্যুর হার কমাতে হলে দ্রুত রোগ শনাক্ত, গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান এবং কার্যকর মশক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োজন। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ১২৪ জনের ‘ডেথ রিভিউ’ করা হয়েছে। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ বলেন, যেসব রোগী মারা গেছেন, তাদের বেশির ভাগ হাসপাতালে দেরিতে এসেছেন।

তাদের মধ্যে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, ১৮ জনের ২৪–৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, ৫ জনের ৪৮–৭২ ঘণ্টার মধ্যে এবং ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ৭২ ঘণ্টা পর।

রোববার পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪৯,৯০৭ জন; মারা গেছেন ২১২ জন।