বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন। তার বাগদান সম্পন্ন হয়েছে সাবেক মন্ত্রী নূর মুহাম্মদ খানের বড় মেয়ে, ব্যারিস্টার নুসরাত খানের সঙ্গে।
নূর মুহাম্মদ খান জানান, শুক্রবার রাতে তার বারিধারার বাসায় বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, “আমার বড় মেয়ে নুসরাত খান; গতকাল রাতে নতুন জীবনে যাত্রা শুরুতে আংটি পরানো হয়েছে। ওদের জন্য দোয়া করবেন, সবার কাছে দুজনের জন্য আশীর্বাদ চাই।”
ইশরাক হোসেন অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে। তিনি যুক্তরাজ্যের হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নির্বাচনি পট পরিবর্তনের পর তাকে মেয়র ঘোষণা করা হয়, তবে ‘আইনি জটিলতায়’ শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেননি।
কনে নুসরাত খান লন্ডন থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এরপর তিনি ইননার টেম্পল থেকে ব্যারিস্টার হন। এছাড়াও তিনি ক্যামব্রিজ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের উচ্চতর কোর্স সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় ব্রিটিশ স্কুল অফ ল-এর ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত আছেন।
নূর মুহাম্মদ খানের তিন মেয়ের মধ্যে নুসরাত বড়। বাকি দুই মেয়ে নিশাত খান ও নাফিসা খান লন্ডন থেকে আইন শাস্ত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
ছাত্রজীবনে নূর মুহাম্মদ খান বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের চীনপন্থি নেতা ছিলেন। ১৯৭৯ সালে মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বিলুপ্ত হলে তিনি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার স্ত্রী সাবিহা সুলতানা সাম্মী খান নাগরপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।
নূর মুহাম্মদ খান জানান, বাগদান অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ ঘরোয়া ছিল। বাইরের কাউকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইশরাকের মা ইসমত আরা হোসেন, ভাই ইশফাক হোসেনসহ স্বজনরা।