জনপ্রশাসন সচিব হিসেবে নিয়োগ পেলেন মো. এহছানুল হক

তিন সপ্তাহ শূন্য থাকার পর জনপ্রশাসন সচিবের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পেলেন মো. এহছানুল হক। অন্তর্বর্তী সরকার তাকে এ দায়িত্ব দিয়েছে।

জ্যেষ্ঠ সচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা এতদিন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এখন তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আনা হয়েছে।

রোববার জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।”

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীকে সরিয়ে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। তার জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমানকে, যাকে আওয়ামী লীগ সরকার অবসরে পাঠিয়েছিল।

দুই বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হলেও এক বছর পর গত ২১ সেপ্টেম্বর মোখলেসুর রহমানকে সেই পদ থেকে সরিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য করা হয়।

দায়িত্ব পালনকালে জেলা প্রশাসক বদলিকে কেন্দ্র করে বিপুল ‘আর্থিক লেনদেনের’ অভিযোগে সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিলেন মোখলেসুর রহমান। তবে তিনি দাবি করেন, এসব অভিযোগের ‘বিন্দু বিসর্গেরও সত্যতা নেই’।

তাকে সরানোর পর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের পদটি খালি ছিল। এতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলি, নিয়োগ ও পদোন্নতির কাজ প্রায় স্থবির হয়ে যায়। এমনকি কিছু আর্থিক বিষয়ও আটকে ছিল।

গুরুত্বপূর্ণ ওই পদে নতুন কাউকে দায়িত্ব দিতে সময় নিচ্ছিল অন্তর্বর্তী সরকার। বিষয়টি নিয়ে ‘রাজনৈতিক তদবির ও পরামর্শের চাপের’ কথাও জানান বর্তমান ও সদ্য সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা।

অবশেষে সেই দায়িত্ব দেওয়া হলো ১৯৮২ বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা মো. এহছানুল হককে। গত বছর আগস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর তাকে চুক্তিভিত্তিকভাবে সরকারি চাকরিতে ফিরিয়ে এনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

এহছানুল হক ১৯৮৩ সালে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আমলে তিনি জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৭-০৮ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।