গণভোটের পক্ষে সরাসরি আদেশ জারির দাবি : হাসনাতের

জাতীয় নাগরিক পার্টি–এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের আগে গণভোটের পক্ষে সরাসরি আদেশ জারির দাবি জানিয়েছেন।

শুক্রবার দুপুরে পিরোজপুর জেলা এনসিপি নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য নির্বাচন অপরিহার্য। তবে তার আগে গণভোটের বিষয়ে সরাসরি নির্দেশনা দিতে হবে, এবং সেটি আওয়ামী লীগের মনোনীত রাষ্ট্রপতি নয়, বরং প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আসা উচিত।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে যারা মৌলিক সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন, তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘হ্যাঁ’ প্রচারণা চালাচ্ছেন, আর যারা সংস্কারের বিপক্ষে, তারা ‘না’ প্রচার করছেন। তবে এনসিপি এই দুই অবস্থানের বাইরে গিয়ে সরাসরি গণভোটের আনুষ্ঠানিক আদেশের দাবি জানাচ্ছে।

বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির দূরত্ব বাড়ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “যারা সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নেবে, তাদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই দূরত্ব তৈরি হবে। এনসিপি কোনো জোটে যুক্ত হবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।”

তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়েই দেশের রাজনীতি এগোচ্ছে। তাঁর ভাষায়, “আওয়ামী লীগ না থাকায় রাজনৈতিক দলগুলো এখন আলোচনার টেবিলে বসতে পারছে। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন বা সমঝোতার বিষয় এনসিপির কাছে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।”

বিএনপি ও জামায়াতের সাম্প্রতিক অবস্থান নিয়েও তিনি সমালোচনা করেন। হাসনাত বলেন, “তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার যে চেষ্টা করছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদের ‘ব্যাকডোর’ সমঝোতার ইঙ্গিত এখন অনেকটাই স্পষ্ট। তাই জনগণ তাদের ভোট দেবে কি না, সেটি জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।”

নির্বাচন কমিশনের প্রতীক বরাদ্দ প্রক্রিয়া নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন এনসিপি নেতা। তাঁর মতে, “নির্বাচন কমিশনের কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। যেকোনো সময় যে প্রতীক ভালো লাগে, সেটিই তারা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে কমিশনকে স্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।”