তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে স্পষ্ট জানিয়েছেন, দেশটি চীনের প্রস্তাবিত ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি কখনোই গ্রহণ করবে না। তিনি বলেন, তাইওয়ান তার স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় অটল থাকবে এবং আত্মরক্ষার বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান বজায় রাখবে।
শুক্রবার এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট লাই বলেন, তাইওয়ান নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। এর আগে সপ্তাহের শুরুতে চীন ঘোষণা দেয়, তারা প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেও তাইওয়ানকে একীভূত করবে—যার পরেই প্রেসিডেন্ট লাই এই প্রতিক্রিয়া জানান।
চীনের দৃষ্টিতে প্রেসিডেন্ট লাই একজন ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’। তবে তিনি তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলের হুকো সামরিক ঘাঁটিতে সেনাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, “শান্তি কেবল শক্তির মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়। আগ্রাসীর দাবি মেনে সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিলে প্রকৃত শান্তি আসে না। মর্যাদা ও দৃঢ়তার সঙ্গে বর্তমান অবস্থান ধরে রাখতে হবে এবং আগ্রাসন বা জোরপূর্বক একীকরণের বিরোধিতা করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করি। তাইওয়ান সর্বদা তার স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক ব্যবস্থা রক্ষা করবে।”
এই বক্তব্যের বিষয়ে চীনের তাইওয়ান-বিষয়ক কার্যালয় তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
তাইওয়ানের প্রধান কোনো রাজনৈতিক দলই চীনের এই নীতিকে সমর্থন করে না। প্রেসিডেন্ট লাই আরও বলেন, “গণপ্রজাতন্ত্রী চীন এবং প্রজাতন্ত্রী চীন (তাইওয়ান) — দুটি পৃথক রাষ্ট্র; একে অপরের অধীন নয়। তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব কখনোই দখল বা লঙ্ঘন করা যাবে না। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে শুধুমাত্র এখানকার জনগণ।”
তিনি যুক্ত করেন, সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক জীবনধারা রক্ষা কোনো উসকানি নয়; বরং এটি শান্তি প্রতিষ্ঠার অংশ। তাঁর ভাষায়, “জাতীয় প্রতিরক্ষায় বিনিয়োগ মানেই শান্তিতে বিনিয়োগ।”
