যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসা পেলেন জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি

টোকিও: জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশংসা করেছেন। ট্রাম্প তার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়াকে ‘বড় বিষয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

মাত্র এক সপ্তাহ আগে জাপানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া সানায়ে তাকাইচি জাপান সফরকালে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ট্রাম্প তার সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর অঙ্গীকারকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বাণিজ্য ও বিরল খনিজ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতেও সই করেছেন।

সানায়ে তাকাইচির রাজনৈতিক গুরু ছিলেন ২০২২ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। ট্রাম্পও আবেন সঙ্গে বন্ধু এবং গলফ খেলার সঙ্গী ছিলেন। তাকাইচি বহুবার এই উষ্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বিশ্বে সংঘাত নিরসনের জন্য ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করেছেন।

ট্রাম্পের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাকাইচি। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “শিনজো এবং অন্যদের কাছ থেকে যা শুনেছি, তাতে মনে হয় আপনি হবেন মহান প্রধানমন্ত্রীদের একজন। প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়াও বিরাট বিষয়।”

দুই দেশের সরকারই জ্বালানি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ খাতে একাধিক প্রকল্পের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই খাতে যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে জাপানি কোম্পানিগুলোর। এছাড়া জাপান এবছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫০ হাজার কোটি ডলারের কৌশলগত বিনিয়োগ, ঋণ ও গ্যারান্টি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এটি ট্রাম্প সরকারের শুল্ক নীতির চাপ মোকাবিলার অংশ হিসেবে করা চুক্তি।

বৈঠকে ট্রাম্প ও তাকাইচি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এবং বিরল খনিজ সরবরাহ জোরদারে চুক্তি সই করেছেন। এই চুক্তি মূলত চীনের প্রভাব সীমিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প জাপানের যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। এদিকে, তাকাইচি কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষে বিরতির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, এটি একটি ‘অভূতপূর্ব সাফল্য’।