পদ্মা নদীতে নাব্য সংকট: হরিরামপুরে আট দিন ধরে আটকে আছে সারবোঝাই জাহাজ

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পয়েন্টে পদ্মা নদীতে নাব্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে আট দিন ধরে নদীতে আটকে আছে সারবোঝাই একটি জাহাজ।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছেড়ে আসা এমভি আম্বু হালিমা-৪ জাহাজটি উপজেলার আন্ধারমানিক ঘাট থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে আটকে আছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন হরিরামপুর থানার ওসি মুজিবুর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, পদ্মার হারুকান্দি থেকে গোপীনাথপুর পর্যন্ত নদীর মাঝ দিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ডুবোচর জেগে উঠেছে। কয়েক বছর আগে এই চরটি দেখা গেলেও বর্ষা মৌসুমে এটি থাকে না। পানি কমলে অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের শুরুতে চরটি আবার দেখা দেয়। এ কারণে উপজেলা সদরের সঙ্গে দুর্গম চরাঞ্চলের জনগণের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ইঞ্জিনচালিত ট্রলার চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।

এমভি আম্বু হালিমা-৪ জাহাজের মাস্টার মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, “২৩ অক্টোবর বিকালে জাহাজটি ডুবোচরে আটকে যায়। আট থেকে নয় দিন ধরে আমরা সেখানে বসে আছি। আমরা চট্টগ্রাম থেকে টিএসপি সার নিয়ে পাবনার নগরবাড়ি যাচ্ছিলাম। সময় মতো সার পৌঁছে না দিতে পারলে কৃষকের বড় ক্ষতি হবে। অনেক চেষ্টা করেও এখনো জাহাজ নামানো সম্ভব হয়নি।”

আন্ধারমানিক ঘাটের ট্রলার মালিক মো. হাসেম বলেন, “পদ্মা পাড় ঘাট থেকে প্রতিদিন ছয়টি ট্রলারে চরাঞ্চলের মানুষ যাতায়াত করে। এখান থেকে নদীর ওপরের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। কিন্তু নদীর মাঝ দিয়ে ডুবোচর জেগে উঠায় অন্তত তিন কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে চরে একটি জাহাজ আটকে রয়েছে।”

বিআইডব্লিউটিএর (BWTA) আরিচা অঞ্চলের ড্রেজিং ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান আহমেদ জানান, “ডুবোচর ড্রেজিং করার কাজ আমরা করি না। সাধারণত নৌ-পথ স্বাভাবিক রাখতে নৌযান চলাচল এলাকা মার্কিং থাকে। এসব এলাকায় নাব্য সংকট দেখা দিলে আমরা ড্রেজিং করি। জাহাজে নৌ-পথ শনাক্তের জন্য একজন পাইলট থাকেন। তারা যদি কোনো এলাকা ড্রেজিংয়ের প্রয়োজন মনে করেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রিকোয়্যারমেন্ট দেন, তখন ড্রেজিং করা হয়। তবে বর্তমানে নদীতে যে জাহাজটি আটকে আছে, সেখানে সম্ভবত পাইলট ছিলেন না।”