“গণভোটের আদেশ দিতে হবে মুহাম্মদ ইউনূসকে, অধ্যাদেশ নয়”–হাসনাত আব্দুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, “আমরা চাই দ্রুত গণভোটের আদেশের বিষয়টি নিষ্পত্তি হোক। তবে আদেশটি কোনো অধ্যাদেশ নয়, কোনো প্রজ্ঞাপন নয়, অবশ্যই আদেশ হতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে যিনি প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন, মুহাম্মদ ইউনূসকেই সেই আদেশ জারি করতে হবে।”

শনিবার দুপুরে বরগুনায় এনসিপির সমন্বয় সভায় যোগদানের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

নির্বাচন কমিশনের প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাসনাত বলেন, “এখনও কোনো নীতিমালা দিয়ে শাপলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে নাই। আবার কোন নীতিমালা দিয়ে কলা, বেগুন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেটাও স্পষ্ট নয়। কয়েকদিন আগে দেখেছি শাপলাকে কলার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করেছে, এটা আসলে কোন নীতিমালার ভিত্তিতে করছে, সেটা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। সেজন্য আমরা বারবার বলেছি, নির্বাচন কমিশন এভাবে চলতে পারে না। এটার নীতিমালা থাকা উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “মধ্যযুগীয় চিন্তাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নিয়ে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। আমরা সবসময় নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা দেখতে চাই। যে নীতিমালার ভিত্তিতে তারা মার্কাকে অন্তর্ভুক্ত করে বা বাদ দেয়, সেটি আমাদের কাছে স্পষ্ট হওয়া দরকার। এ বিষয়ে আমাদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।”

সংস্কার নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাসনাত বলেন, “সংস্কারের পক্ষে যারা থাকবে, তাদের সঙ্গে এনসিপির হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে। জামায়াত যখন আমাদের সংস্কার প্রস্তাবনাগুলো এগিয়ে নিয়ে গেছে, তখন মনে হয়েছে তাদের সঙ্গে আমাদের হৃদ্যতা রয়েছে। একই পরিস্থিতি বিএনপির ক্ষেত্রেও হয়েছে।”

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বয় সভা শুরু হয়। এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্তর সভাপতিত্বে সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিনও উপস্থিত ছিলেন।