দেশের সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকরা গ্যাস বিক্রির ওপর বিদ্যমান রেশনিং ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার কেবল পছন্দের কয়েকজনকে সুবিধা দিতে যানবাহনে এলপিজি চালু করে এবং সিএনজির ব্যবসা সংকুচিত করার লক্ষ্যে স্টেশনগুলোতে রেশনিং চালু করে।
শনিবার রাজধানীর বিজয়নগরে হোটেল একাত্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা। বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ উপলক্ষে রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী-ফারহান নূর প্যানেল এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ মে।
প্যানেলের পক্ষে লিখিত ইশতেহার পাঠ করেন আরএসআর বিজনেস লাইনার্সের মালিক রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী। তিনি শহরের গণপরিবহনে সিএনজি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার আহ্বান জানান পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে।
ফাহাদ সিএনজির মালিক ফারহান নূর ভূঁইয়া অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘বিমাতাসুলভ’ আচরণের কারণে এই খাতের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি জানান, দেশে ব্যবহৃত গ্যাসের মাত্র চার শতাংশ সিএনজি স্টেশনগুলো ব্যবহার করলেও তাদের ওপর রেশনিং চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার কিছুটা শিথিলতা আনলেও মালিকরা সম্পূর্ণ রেশনিং বাতিল চান।
সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের সদস্যরা জানান, ২০১৭ সালে সরকারের পক্ষ থেকে মালিকদের কমিশন ২ টাকা ৯৮ পয়সা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যত মাত্র ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাকি ১ টাকা ৯৮ পয়সার বর্তমান মূল্য ৩ টাকা ৫০ পয়সা, সঙ্গে বিদ্যুৎ খরচ বাবদ আরও ১ টাকা ৬০ পয়সা যুক্ত হয়ে মোট ৫ টাকা ১০ পয়সা কমিশন দাবির কথা জানান তারা।
অনুষ্ঠানে প্যানেলের বেশিরভাগ প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন এবং অনেকে অভিযোগ করেন, নির্বাচনে বাধা দেওয়ার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী সংগঠনের ২৯৯ জন ভোটার ১৭ মে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে বিজয়নগরের আকরাম টাওয়ারে ভোট দিতে পারবেন। সদস্য সংখ্যা ৪০০ হলেও সময়মতো চাঁদা ও কাগজপত্র না দেওয়ায় বাকিরা তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী-ফারহান নূর প্যানেলের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ২১ জন, যারা বিভিন্ন সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও কনভার্সন সেন্টারের মালিক।
