ঘোষিত আয়ের বাইরে সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে আপিলের অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্ট।
একইসঙ্গে এ মামলায় তার ৫৮৭ দিনের বিলম্বও মার্জনা করেছে আদালত।
মঙ্গলবার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
জুবাইদা রহমানের কৌসুলি ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানিয়েছেন, বিলম্ব মার্জনার দরখাস্ত মঞ্জুর হওয়ায় এখন তিনি আপিল করতে পারবেন।
গত বছরের ২ অক্টোবর কাফরুল থানায় দুদকের করা মামলায় জুবাইদা রহমানের দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করেছিল সরকার।
১৭ বছর পর দেশে ফিরে এই আপিল করেন চিকিৎসক জুবাইদা রহমান। ২০০৮ সালে অসুস্থ তারেক রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি ও তাদের মেয়ে জায়মা রহমানও গিয়েছিলেন। এরপর তৎকালীন সরকার তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা করে। ফলে দীর্ঘ সময় দেশে ফিরতে পারেননি তিনি।
গত ৬ মে লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে আসেন জুবাইদা।
এই মামলায় তার সাজা স্থগিতের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাজা স্থগিতের আবেদনে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক।
মামলায় ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জুবাইদা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে।
পরে একই বছর তারেক ও জুবাইদা রহমান মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক রিট আবেদন করেন। ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাদের জরিমানাও করা হয়।