দুই উপদেষ্টার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তার (পিও) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে অব্যাহতি পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পিও ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবি।
রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক মহাপরিচালক বলেন, “দুই উপদেষ্টার এপিএস ও পিওর দুর্নীতির বিষয়ে আমরা দুদকের আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করব। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাদের নজরে এসেছে। আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট এ বিষয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে। অগ্রগতির বিষয়ে শিগগিরই সবাইকে জানানো হবে।”
এর আগে সকালে ‘যুব অধিকার পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন এ বিষয়ে অনুসন্ধানের দাবি জানায়। সংগঠনটি জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল করে দুদক কার্যালয়ে গিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়।
গত ২২ এপ্রিল জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, যদিও উপদেষ্টা তাকে ৮ এপ্রিলই অব্যাহতির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এছাড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এক সাক্ষাৎকারে তার সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে দুদককে আহ্বান জানান।
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পিও তুহিন ফারাবিকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।
