৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৬৯০ জন
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রায় সাড়ে তিন বছর পর ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সোমবার রাতে ১৬৯০ জন প্রার্থীকে চাকরির জন্য মনোনীত করে ফল প্রকাশ করা হয়।
সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় পিএসসির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। মনোনীত প্রার্থীদের নিয়োগে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএসের সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগ দিতে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বর্তমানে ৪৫তম, ৪৬তম ও ৪৭তম বিসিএসের নিয়োগ পরীক্ষাও চলমান রয়েছে।
পিএসসির রোডম্যাপ অনুযায়ী ৩০ জুন ফল প্রকাশের কথা ছিল। নির্ধারিত সময় অনুযায়ীই ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘোষিত ১৭১০টি পদের মধ্যে কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে ২০টি পদে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হয়নি।
মনোনীত প্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য পিএসসির ওয়েবসাইট (www.bpsc.gov.bd) এবং টেলিটকের ওয়েবসাইট (http://bpsc.teletalk.com.bd) থেকে জানা যাবে।
২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১৭১০ জন কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছিল।
পরীক্ষার সব ধাপ শেষে ফল প্রকাশ করে কমিশন জানায়, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও সব প্রার্থীকে ক্যাডার পদে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হয়নি।
যেসব প্রার্থীকে ক্যাডারে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হয়নি, তাদের নন-ক্যাডার পদের শূন্যতা অনুযায়ী মেধাক্রম ও প্রযোজ্য বিধি অনুসারে পর্যায়ক্রমে সুপারিশ করা হবে।
এই বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয় ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকারের পরিবর্তনের কারণে প্রথম দফায় স্থগিত হয় এবং দ্বিতীয় দফায় ২৫ আগস্ট আবারও স্থগিত হয়।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৩ হাজার ৯৩০ জনের ভাইভা নেওয়া হয়েছিল।
পরবর্তীতে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর ‘ন্যায্যতা বজায় রাখতে’ প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে আগের কমিশনের নেওয়া ভাইভা বাতিল করে নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
নতুন করে ভাইভা শেষে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হলো।