১৮ দিন পর খুলছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হোস্টেল

পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বন্ধ থাকার ১৮ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে খুলে দেওয়া হচ্ছে কলেজের হোস্টেলও।

মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১২ জুলাই শনিবার থেকে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে। আর হোস্টেলগুলো খুলে দেওয়া হবে ১১ জুলাই সকাল ৮টা থেকে।

কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. কামরুল আলম বলেন, “শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরতে চায়। হোস্টেল ও কলেজ বন্ধ থাকায় তাদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।”

নিরাপদ আবাসনসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত মে মাস থেকে ক্লাস বর্জন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে ২১ জুন তারা কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন। ওই কর্মসূচির মধ্যেই কলেজ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে এবং শিক্ষার্থীদের ২২ জুন দুপুর ১২টার মধ্যে হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেয়।

তবে শিক্ষার্থীরা সেদিন সন্ধ্যায় জানিয়ে দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা হোস্টেল ছাড়বেন না। ২৩ জুন বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যায়। তাদের সঙ্গে ছিলেন অধ্যক্ষ কামরুল আলম।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক শেষে কে-৭৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে। তাদের দাবি মনোযোগ দিয়ে শোনা হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়ন ও বিকল্প আবাসনের বিষয়ে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা তারা পাননি।

তিনি বলেন, “আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। তবে এখনও কীভাবে কী হচ্ছে সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা পাইনি।” পরদিন শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, তারা তখনই ক্লাসে ফিরবেন না। সেদিন থেকেই শিক্ষা কার্যক্রম ও হোস্টেল বন্ধ থাকে।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো—
১. নতুন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস নির্মাণের জন্য দ্রুত বাজেট পাস।
২. নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা।
৩. নতুন একাডেমিক ভবনের জন্য আলাদা বাজেট।
৪. আবাসন ও একাডেমিক ভবনের বাজেট পৃথকভাবে অনুমোদন ও দ্রুত বাস্তবায়ন।
৫. সব প্রকল্প ও কার্যক্রমের অগ্রগতি শিক্ষার্থীদের সামনে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনের জন্য প্রতিনিধি নির্ধারণ।