জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার দুপুরে সংগঠনের ফেসবুক পেজে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়, “গোপালগঞ্জে জুলাইয়ের নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সারাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল ইউনিটকে স্থানীয় ছাত্রসংগঠন, রাজনৈতিক দল ও সর্বস্তরের ছাত্রজনতাকে সাথে নিয়ে ব্লকেড কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো যাচ্ছে।”
এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চলছিল। বুধবার সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পরিস্থিতির সূত্রপাত হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতেও হামলা চালানো হয়।
বেলা দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিতে দিতে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে পুলিশি নিরাপত্তায় নেতারা টেকেহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে আবারও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন গোপালগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
