শাপলা প্রতীক নিয়েই অনড় এনসিপি, ইসির সিদ্ধান্তে প্রশ্ন

রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নতুন চারটি প্রতীক সংরক্ষণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে একটি হলো ‘শাপলা কলি’। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলছে, তারা শুরু থেকেই চেয়েছিল কেবল ‘শাপলা’ প্রতীক, ‘শাপলা কলি’ নয়।

দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, “এনসিপি শাপলাই চায়। আমরা যখন শাপলা চেয়েছিলাম, তখন নির্বাচন কমিশন জানায়— তালিকায় নেই, তাই দেওয়া সম্ভব নয়। এখন প্রশ্ন হলো, তালিকায় না থাকা ‘শাপলা কলি’ কীভাবে সংযোজন হলো, সেটা পরিষ্কার করতে হবে।”

নতুন চারটি প্রতীক সংযোজন করে গেজেট প্রকাশের পরই এ প্রতিক্রিয়া জানান এনসিপি নেতা মুসা।

প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা কলি’ এনসিপিকে বরাদ্দ দেওয়া হলে দলটি তা গ্রহণ করবে কি না— এমন প্রশ্নে যুগ্ম সদস্য সচিব ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন বলেন, “ইসি কোন মানদণ্ডে ‘শাপলা কলি’কে প্রতীক হিসেবে যুক্ত করেছে, সেটা আমাদের জানা দরকার। নতুন প্রতীকগুলো দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। এখনো সে আলোচনা হয়নি।”

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসি এনসিপিসহ দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিবন্ধনের পর এনসিপিকে বিদ্যমান ৫০টি প্রতীকের তালিকা থেকে একটি বেছে নেওয়ার সময়সীমা দেওয়া হয় ৭ অক্টোবর পর্যন্ত।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতীক বাছাই না করে দলটি বিধি সংশোধনের দাবি তুলে শাপলা প্রতীক চায়। কিন্তু ইসি জানায়, তালিকায় না থাকায় সেটি দেওয়া সম্ভব নয়।

এরপর এনসিপি নেতারা হুঁশিয়ারি দেন, তারা ‘শাপলা’ প্রতীকেই ভোট করবেন; না পেলে আন্দোলনে নামবেন। গত রোববার কিশোরগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “শাপলা প্রতীক না পেলে এনসিপি রাজপথে নামবে, প্রয়োজনে এই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যুক্ত হবে।”

নেতাদের এমন অনড় অবস্থান ও আন্দোলনের হুঁশিয়ারির মধ্যেই বৃহস্পতিবার ইসি ‘শাপলা কলি’কে প্রতীক তালিকায় যুক্ত করে।

এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর ইসি প্রতীক তালিকা সংশোধন করে ১১৫টি মার্কা করে, তবে তাতে শাপলা ছিল না। নতুন চারটি যুক্ত হওয়ায় এখন প্রতীকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৯টি। নতুন প্রতীকগুলো হলো— শাপলা কলি, সিঁড়ি, হ্যান্ডশেক ও সূর্যমুখী।