গোপালগঞ্জের সহিংসতার তদন্তে কমিটি, দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানায়, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনির নেতৃত্বে তিন সদস্যের এ কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন জনপ্রশাসন ও আইন মন্ত্রণালয়ের একজন করে অতিরিক্ত সচিব।

সরকার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে বলেও জানানো হয় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে।

গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা তৈরি হয়। বুধবার পৌর পার্ক মাঠে সমাবেশ শুরুর আগেই সড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও ইউএনওর গাড়িতে হামলা হয়। বেলা দেড়টার দিকে মঞ্চে সমাবেশ শুরুর আগে আবারও হামলার ঘটনা ঘটে।

কিছুক্ষণ পর সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি শেষ করে পুলিশ ও সেনা পাহারায় মাদারীপুরের দিকে রওনা দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। কিন্তু লঞ্চঘাট এলাকায় তারা ফের হামলার শিকার হন। এ সময় হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

হামলা, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও গুলির শব্দে গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। অন্তত চারজনের লাশ গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিকেলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপরও সহিংসতা থামানো না গেলে সন্ধ্যার পর জারি করা হয় কারফিউ।

‘জুলাই পদযাত্রা’র ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানায় এনসিপি। তারা অভিযোগ করে, এ কর্মসূচিতে “ফ্যাসিস্ট মুজিববাদীরা” হামলা চালিয়েছে।

দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন এবং বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দেন। পাশাপাশি ‘জুলাই পদযাত্রা’র পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিও বহাল রাখার ঘোষণা দেন।