ঐকমত্য কমিশনের ‘এলিট সংস্কার’ নিয়ে অভিযোগ জনতা পার্টির

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সব দলকে না ডেকে কিছু দল নিয়ে ‘এলিট সংস্কারে’ ব্যস্ত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে নতুন রাজনৈতিক দল জনতা পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি)।

দলটির নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন বলেছেন, “সংস্কার সাধনের ক্ষেত্রে ধীরগতি আজকের জনমনে প্রশ্ন তুলেছে। বিগত স্বৈরাচারের সহযোগীরা এখনও বিচারালয় ও প্রশাসনে বহাল আছে। ঐকমত্য কমিশন আলোচনার সংস্কৃতি তৈরি করলেও এখন তা রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করছে। গণঅভ্যুত্থানের অংশীজনদের বাইরে রেখে এক ধরনের এলিট সংস্কারে তারা ব্যস্ত। জুলাই সনদের নামে বর্তমান সরকারের বৈধতার স্বীকৃতি দিতেই যেন এ উদ্যোগ।”

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জেপিবি মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, “আমরা আত্মপ্রকাশের পর সরকার ও ঐকমত্য কমিশন উভয়কে চিঠি দিয়েছিলাম। আমাদের প্রস্তাবগুলো নিয়ে নিজেরা মিটিং করে একটি সুপারিশমালা তৈরি করেছিলাম। কিন্তু আমাদের বক্তব্য তোলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছিল অনিবন্ধিত দলকে ডাকা হবে না, অথচ অন্য অনিবন্ধিত দলকে ডাকা হয়েছিল। এতে মনে হয়েছে বিএনপি বা জামায়াতের দেওয়া তালিকাভুক্ত দলগুলোকেই ডাকা হয়। এভাবে কমিশন বৈষম্য করছে।”

নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ১৬৪টি দলের কোনোটিই প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ হয়নি বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এই প্রসঙ্গে শওকত মাহমুদ বলেন, “২০০৮ সালের বিধিমালা অনুযায়ী প্রথম অবস্থায় কোনো দলের উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব নয়। এমন শর্ত আরোপ করা হয়েছে, যেখানে প্রত্যেক উপজেলা থেকে ২০০ ভোটার সদস্য দেখাতে বলা হয়েছে। যদি ১৯৯ জন হয়, তাও তথ্যের ঘাটতি হিসেবে ধরা হয়েছে। এভাবে নতুন দলগুলোর প্রতি তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে।”

জনতা পার্টি বাংলাদেশ গেল ২৫ এপ্রিল রাজধানীর একটি হোটেলে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। দলটির চেয়ারম্যান ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টা শাহ মো. আবু জাফর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এম আসাদুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল হক হাফিজ, এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান, যুগ্ম মহাসচিব এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা ও সমন্বয়কারী নুরুল কাদের সোহেল।