ঢাকার আশুলিয়ায় বিএনপি নেতাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা, অগ্নিসংযোগ, মারধর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন কানাডা প্রবাসী মরিয়ম ইয়াসমিন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার এসআই শেখ মো. মাসুদ আল মামুন।
মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক দুলাল (৫০), তার সহযোগী মো. আলম (৪৭), মো. দেলোয়ার (৬২), ছোট নূরা (৩০), মো. বাবু (৩০), মো. ফরিদ (২৮), বড় নূরা (৩৫), মো. শাহাদাত (২৫) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৬ জন।
বাদী মরিয়ম আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজীরচট এলাকার বাসিন্দা। তিনি জানান, তার প্রজেক্টে বিএনপি নেতা দুলালের নেতৃত্বে একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপি নেতা দুলাল দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, দখলবাজ ও চাঁদাবাজ চক্র পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।
এসআই মামুন বলেন, “গত এক মাসে প্রবাসী মরিয়মের প্রজেক্টে তিনবার হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা সিসিটিভি ক্যামেরা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “বুধবার বিএনপি নেতা দুলালের নেতৃত্বে একদল লোক প্রজেক্টে হামলা চালিয়ে হাত বোমা ফাটিয়ে ও গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়ে প্রজেক্টের সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে। এতে কর্মচারীদের বেতনের প্রায় চার লাখ টাকা লুট করা হয় এবং আরও ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।”
মরিয়মের অভিযোগ, “মামলা হওয়ার পরও পুলিশ রহস্যজনকভাবে আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। বিএনপি নেতা দুলাল প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে আমার পরিবার আতঙ্কে রয়েছে।”
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মামুন বলেন, “জায়গাজমি নিয়ে বিরোধের জেরে মামলাটি হয়েছে। চাঁদা দাবি ও টাকা লুটের ঘটনা কতটা সত্য, তা তদন্তের পর বলা যাবে।”
বিএনপি নেতা দুলালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।