নাটোরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে একই পরিবারের নিহত ৮

নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটজন।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বড়াইগ্রামের শ্রীরামপুরের বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের তরমুজ পাম্প এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে বেলা পৌনে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।

রাজশাহী মেডিকেলে নিহতরা হলেন মেহেরপুরের গাংনির মোছা. সীমা খাতুন (৩২) ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মো. শাহাবুদ্দিন (৩২)।

এর আগে সকালেই নিহত হন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ধর্মদহ এলাকার প্রয়াত জিল্লুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৬৫), তার স্ত্রী শেলী বেগম (৬০), একই এলাকার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. আন্না (৬০), মোহাম্মদ মোল্লার স্ত্রী মোছা. আঞ্জুমান (৭৫), দৌলতপুরের প্রাগপুর এলাকার মো. রফেজ চৌধুরীর স্ত্রী মোছা. ইতি খাতুন (৪০) এবং মেহেরপুরের গাংনি এলাকার মো. রুবেল হোসেন, যিনি মাইক্রোবাসের চালক ছিলেন।

পরিবার ও স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীরা পরস্পরের আত্মীয়। সিরাজগঞ্জে অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে তারা কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর থেকে মাইক্রোবাসে রওনা হয়েছিলেন।

মাইক্রোবাসটি বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের তরমুজ পাম্প এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ চাকা ফেটে যায়। এ সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাজশাহীগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তীব্র সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে ট্রাকের সামনের দিকে ঢুকে পড়ে।

পুলিশ সুপার জানান, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যান। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয় এবং পরে আরও দুজন মারা যান।

তিনি আরও জানান, মাইক্রোবাসে ড্রাইভারসহ মোট আটজন ছিলেন, সবাই নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় জড়িত ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন।