মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর জঙ্গি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৪৪ জন রোগীর মধ্যে আটজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। তারা বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন জানান, রোগীদের অবস্থা তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সংকটাপন্ন (ক্রিটিক্যাল) অবস্থায় আটজন, সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে ১৩ জন এবং ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ের ২৩ জন আছেন। সিভিআর ক্যাটাগরির রোগীদের অবস্থা মাঝারি এবং ইন্টারমিডিয়েটদের অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভালো।
তিনি বলেন, রোগীদের অবস্থা প্রতি ঘণ্টায় পরিবর্তিত হতে পারে। কখনো সংকটাপন্ন থেকে উন্নতি ঘটতে পারে আবার কখনো মাঝারি অবস্থার রোগী সংকটাপন্ন হতে পারেন। তাই ১২ ঘণ্টা পরপর চিকিৎসকরা অবস্থা পুনঃমূল্যায়ন করছেন। সিঙ্গাপুর থেকে আসা চিকিৎসক টিমের সঙ্গে সমন্বয় করে চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি ২১ জনের মধ্যে ১৫ জন মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল, লুবনা জেনারেল ও ইউনাইটেড হাসপাতালে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজে তিন জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৯ জন নিহত এবং ৬৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৪ জন ভর্তি রয়েছেন, যাদের মধ্যে আটজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দীন জানিয়েছেন, রোগীদের অবস্থা তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে — সংকটাপন্ন, সিভিয়ার ও ইন্টারমিডিয়েট। চিকিৎসকরা প্রতি ঘণ্টায় তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
দুর্ঘটনায় ঢাকা সিএমএইচ, ঢাকা মেডিকেল, লুবনা জেনারেল ও অন্যান্য হাসপাতালে মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনজন বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসক টিম এসেছে এবং তারা স্থানীয় চিকিৎসকদের সঙ্গে কাজ করছে।