যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূরক শুল্ক ‘কিছুটা কমবে’ আশা করছেন অর্থ উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান আলোচনা শেষে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক কিছুটা কমবে, এমন আশায় রয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি হয়তো কিছু কমবে। কারণ আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি খুবই কম, মাত্র ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।”

ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের পণ্যে ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে যা আগামী অগাস্টের শুরুতেই কার্যকর হওয়ার কথা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক কমানোর জন্য আলোচনা চলছে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র যাবেন আলোচনায় অংশ নিতে।

তিনি বলেন, “আমাদের যুক্তরাষ্ট্রে ভালো ইমেজ রয়েছে। সম্প্রতি শেভরন, এক্সিলারেট এনার্জি, মেটলাইফের বকেয়া পরিশোধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক মনোভাব পেয়েছি।”

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের ফলে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক খাতসহ বিভিন্ন খাতে উদ্বেগ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার হওয়ায় বিশেষ প্রভাব পড়বে। ব্যবসায়ীরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষির জন্য লবিস্ট নিয়োগের পরামর্শ দিলেও অর্থ উপদেষ্টা তা অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, “লবিস্ট নিয়োগের প্রয়োজন নেই। এখানে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, লবিস্টরা দরকষাকষির জায়গায় আসতেই পারবে না।”

অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, সার ও এলএনজি আমদানি বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম তুলনামূলক বেশি, তবে প্রোটিন মান বেশি থাকায় তা গ্রহণযোগ্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।