সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় মেট্রো লাইনের বিয়ারিং প্যাড পড়ে আবুল কালাম নামে এক যুবকের মৃত্যু ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার বিকালে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফকে। কমিটিতে কারিগরি ও প্রকৌশলগত ত্রুটি পর্যালোচনার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং সামরিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের (এমআইএসটি) বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান, এমআইএসটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহিদুল ইসলাম এবং ডিএমটিসিএলের (লাইন-৫) প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব। উপসচিব আসফিয়া সুলতানা সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহত আবুল কালামের দাফন-কাফনের সব খরচ সরকার বহন করবে। এছাড়া নিহতের পরিবারের কর্মক্ষম ও বেকার সদস্যদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।
রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার খামারবাড়ি এলাকায় মেট্রো লাইনের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আবুল কালামের মৃত্যু হয়। তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঈশ্বরকাঠি এলাকার জলিল চোকদারের ছেলে।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কমিটি গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় ঘটানো বিয়ারিং প্যাডের ঘটনা সম্পর্কিত তদন্ত প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করবে।
কম্পন প্রতিরোধের জন্য সেতু বা উড়াল সেতুতে ইলাস্টোমোরিক বিয়ারিং প্যাড বসানো থাকে। এ প্যাড নিওপ্রেন বা প্রাকৃতিক রাবার দিয়ে তৈরি, যা পিয়ার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো হয়। এর ভেতরে থাকে স্টিলের কাঠামো এবং উপরে রাবার। এই প্যাডগুলো ওজনে অনেক ভারী।
তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন জানিয়েছেন, ফার্মগেট মেট্রো স্টেশনের নিচে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনের ফুটপাত দিয়ে এক পথচারী হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় উপর থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই প্যাড পড়ে একটি চায়ের দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
