যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অভিবাসীদের ঢল ‘ইউরোপকে শেষ করে দিচ্ছে’ এবং এখনই ইউরোপের ‘কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে’।
শনিবার স্কটল্যান্ডে এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে নেমে টারমাকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘অনেক’ ইউরোপীয় দেশেরই উচিত এই ‘ভয়াবহ আগ্রাসন’ থামানো।
“অভিবাসনের বিষয়ে, আপনাদের এখনই হুঁশে আসা দরকার। এই অবস্থা চললে ইউরোপই আর থাকবে না। আপনাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ইউরোপে যে ভয়াবহ আগ্রাসন চলছে তা থামাতে হবে, ইউরোপের অনেক দেশেই,”—মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমনটাই বলেছেন বলে এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
ট্রাম্পের বাবা ফ্রেড ও মা মেরি অ্যান ম্যাকলাউড উভয়েই ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন।
শনিবার ট্রাম্প বলেন, ইউরোপের অনেক নেতা অভিবাসীদের ঢল থামানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু তারা ‘প্রাপ্য’ সম্মান পাচ্ছেন না। “আমি চাইলে তাদের নাম নিতে পারি, কিন্তু অন্যদের বিব্রত করতে চাই না। এই অভিবাসন ইউরোপকে শেষ করে দিচ্ছে,” বলেছেন তিনি।
মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো নিয়ে নিজের প্রশাসনের সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন ট্রাম্প। বলেন, “আপনারা জানেন, গত মাসে আমাদের দেশে কেউ ঢুকতে পারেনি। অনেক বাজে লোককে আমরা সরিয়ে দিয়েছি।”
জাতিসংঘের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, তখন ইউরোপে আন্তর্জাতিক অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ৭০ লাখের বেশি।
এই বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ফেরার পর ট্রাম্প অভিবাসন বিষয়ে আগের চেয়ে আরও কঠোর হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ‘অভিবাসী ফেরত অভিযান’ পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি, যার আওতায় ইতোমধ্যে হাজার হাজার অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হয়েছে।
তবে তার এই কঠোর অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রতিবাদও চলছে। বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি অভিবাসীর বাস।
ট্রাম্পের ইউরোপ সফর
ট্রাম্প জানিয়েছেন, এবারের ইউরোপ সফরে তিনি স্কটল্যান্ডে নিজের দুটি গলফ স্থাপনায় যাবেন এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন দার লায়েনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সোমবার অ্যাবারডিনের গলফ স্থাপনায় গিয়ে সেখানে মায়ের নামে দ্বিতীয় একটি গলফ কোর্স উদ্বোধনের কথা রয়েছে তার। ট্রাম্পের মা স্কটল্যান্ডের একটি দ্বীপে জন্ম নিয়েছিলেন ও বেড়ে উঠেছিলেন।
এই সফরে ট্রাম্প স্কটিশ নেতা জন সুইনির সঙ্গেও দেখা করতে পারেন, যিনি শেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছিলেন।