ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং শাপলা চত্বরের ঘটনা নিয়ে জাতিসংঘের মাধ্যমে অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেছেন সংগঠনটির নেতারা।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের তথ্য প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বৈঠকের বিষয়বস্তুও তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, ‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনামলে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলাগুলোর প্রত্যাহার এবং তার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ এবং ঘটনাটির যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে ‘হামলার’ বিষয়ে জাতিসংঘের মাধ্যমে অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হেফাজতের নেতারা আলোচনা করেন।
২০১৩ সালের ৫ মে শাহবাগ আন্দোলনের বিপরীতে ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে মতিঝিলে সমাবেশ ডাকে হেফাজতে ইসলাম। ওই সমাবেশকে কেন্দ্র করে মতিঝিল এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা ও তাণ্ডবের পর রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শাপলা চত্বরে ওই অভিযানে ৬১ জন নিহত হন বলে এক সময় ‘অধিকার’ নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন দাবি করে। তবে পুলিশের দাবি, রাতের অভিযানে কেউ নিহত হয়নি, বরং দিনব্যাপী সংঘর্ষে ১১ জন মারা যান।
যমুনায় অনুষ্ঠিত শনিবারের বৈঠকে হেফাজতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা খুলিল আহমেদ কুরাইশী, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওনা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি বশির উল্লাহ এবং মুফতি কেফয়তুল্লাহ আজহারী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ওজুল কবির খান এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।