জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এবং কেন্দ্রীয় সদস্য মেজর (অব.) মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাঁরা এ তথ্য জানান।
পদত্যাগের বিষয়টি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে প্রথম আলাদা নিশ্চিত করেছেন আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর ও গাজীপুরের একাংশ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘আমি মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক পদ থেকে অবিলম্বে পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছি। একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে আমি কখনোই এমন একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে থাকতে পারি না, যেখানে শীর্ষ নেতৃত্বের কিছু সদস্য নিয়মিতভাবে সেনাবাহিনী ও প্রাক্তন সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেন এবং শত্রুভাবাপন্ন অবস্থান নেন। আমি এ বিষয়ে একাধিকবার নেতৃত্বকে অবহিত করলেও কোনো সংশোধনীমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বরং আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার ও বিভিন্ন মামলার সাথে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’
রাজনীতি ও নির্বাচনের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি এনসিপির পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি গাজীপুর-৩ আসনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি, যেখানে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে আমার নাম উঠে এসেছে। আসন্ন নির্বাচনে আমার ভূমিকা নিয়ে আমি যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
এ প্রসঙ্গে এনসিপির আরেক যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাসের বলেন, ‘গণমাধ্যম মারফত দেখলাম তাঁরা দুজন পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। কয়েকটা বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। এগুলো তদন্ত ও পর্যালোচনার পর্যায়ে ছিল। আমরা শুরু থেকে বলছিলাম, এ ব্যাপারে আমরা নিরপেক্ষভাবে সহযোগিতা করব। এই অবস্থায় হঠাৎ তাঁরা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। দলের সঙ্গে আলাপ না করে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এটাকে পরায়ণপর মনোভাব বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।’