বাংলাদেশে অসংখ্য হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান। যদি আপনি অস্ত্র হ্যান্ডল করতে না পারেন, তাহলে দেশে এনে লাভ কী? এই অস্ত্রকাহিনির কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে, বিপন্ন হয়েছে বহু মানুষের জীবন।’—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
রোববার দুপুরে এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে নেত্রকোনার মোক্তারপাড়া এলাকায় পুরাতন কালেক্টরেট মাঠে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমি বাবর ভাইকে সম্মান করি, তিনি কারানির্যাতিত নেতা। কিন্তু ওই কাজ সমর্থন করি না। আপনার (বাবর) এই কাজের কারণেই বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারেনি। হাসিনার মতো একজন খুনি-ফ্যাসিস্ট ক্ষমতায় এসেছিলেন। গত ১৫ বছর বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, হত্যা করা হয়েছে, গুলি চালানো হয়েছে। এ জন্য আপনিও ইতিহাসের কাঠগড়ায় দায়ী থাকবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, অশান্তি চাই না। মানুষের অধিকার ও মানবিক মর্যাদা চাই। যার হাতে বিচারালয়, সংসদ ও নির্বাহী ক্ষমতা, তার হাতেই রাষ্ট্রের সব কিছু থাকলে ভারসাম্য থাকবে না। তাই আমরা ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষে নির্বাচন চাই। কিন্তু যারা ফ্যাসিস্ট কাঠামো ধরে রাখতে চায়, তারা জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে।’
নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান, সংস্কার এবং শেখ হাসিনার বিচারের টিকিট নিয়েই ঘরে ফিরবেন ইনশা আল্লাহ।’
বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং বিএনপি-জামায়াতের অসংখ্য নেতা-কর্মীর গুম ও খুনের বিচারের দাবি জানান তিনি। একইসঙ্গে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন ও আলেমদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করার এবং পাহাড়িদের ওপর নির্যাতনের বিচারও চান।
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগ ও কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিম খান পাঠান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তবে তারা বক্তব্য দেননি। পথসভা শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা শেরপুরের উদ্দেশে রওনা হন।