আয়-ব্যয়ে সবার শীর্ষে জামায়াতে ইসলামী, বিএনপির দ্বিগুণ ও জাতীয় পার্টির ১১ গুণ

২০২৪ সালে আয়-ব্যয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে পিছনে ফেলে শীর্ষে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির আয় বিএনপির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ এবং জাতীয় পার্টির তুলনায় প্রায় ১১ গুণ বেশি। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়-ব্যয়ের তথ্য প্রকাশের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

এক যুগ পর নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো ২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করেছে জামায়াত। জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের বছরেই দলটি অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে অনেকটা পিছনে ফেলেছে।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালে জামায়াতের মোট আয় ছিল প্রায় ২৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, আর ব্যয় ২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আয় এসেছে মূলত কর্মী ও সদস্যদের চাঁদা (১৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা) এবং অনুদান (১১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা) থেকে।

সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে কর্মীদের বেতন, ভাতা ও বোনাসে, যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এছাড়া প্রার্থীদের অনুদান বাবদ ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা, প্রচার ও পরিবহন খাতে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং আবাসন ও প্রশাসনিক খরচে ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

বছরের শুরুতে জামায়াতের তহবিলে ছিল ১০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, যা ২০২৫ সালের শুরুতে বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকায়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদনে দলটির কোনো ব্যাংক হিসাব নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যান্য দলের আয়-ব্যয় (২০২৪):

  • বিএনপি: আয় ১৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, ব্যয় ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
  • জাতীয় পার্টি: আয় ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, ব্যয় ১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ৮৪ লাখ টাকা।
  • আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি): আয় ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
  • গণঅধিকার পরিষদ: আয় ৪৬ লাখ টাকা, ব্যয় ৪৫ লাখ টাকা।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দলটি অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মাহবুব আলম শাহ। আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিতেও আয়-ব্যয়ের এ হিসাব প্রতিফলিত হয়েছে।