বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি নিয়ে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন বৃদ্ধি ও নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিতকরণের দাবিতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। রোববার বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে মহাসড়কের দুই প্রান্তে যানজট সৃষ্টি হয়। বেলা ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

অবরোধকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তাঁদের দাবির সঙ্গে যোগাযোগ না করলে দক্ষিণবঙ্গকে অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সবদিকেই সংকট। এবার আমরা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলনে নেমেছি। যদি আমাদের দাবি দ্রুত মেনে নেওয়া না হয়, কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’ তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধন, মিছিল ও গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে দাবি জানানো হলেও প্রশাসন বা ইউজিসির কোনো প্রতিনিধি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

শিক্ষার্থী ইনজাম শাওন জানান, শ্রেণিকক্ষ সংকট সবচেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি করছে। পাঠদান ব্যাহত হওয়া ছাড়াও প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবহনে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ১৪ বছর পেরলেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সংকট কাটেনি। সাতটি অনুষদের ২৫টি বিভাগের জন্য অন্তত ৭৫টি শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন হলেও রয়েছে মাত্র ৩৬টি। অনেক সময় খোলা মাঠে ক্লাস হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষক ও আবাসন সংকট, গ্রন্থাগারে বইয়ের অভাব, একটিমাত্র খেলার মাঠ, সুইমিং পুল ও জিমনেসিয়ামের অভাব শিক্ষাজীবনকে ব্যাহত করছে।

বরিশাল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন। পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এর আগে ২৯ জুলাই শিক্ষার্থীরা অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমিত একাডেমিক ভবন ও অপ্রতুল শ্রেণিকক্ষের কারণে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।