ভিকারুননিসা নূন স্কুলে হিজাব বিতর্ক: শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখায় হিজাব পরাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িক বরখাস্তের পর আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা শিক্ষকের পুনর্বহাল, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ‘অপপ্রচারকারীদের’ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সই করা নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ শ্রেণির একটি ক্লাস থেকে ২২ জন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে বের করার অভিযোগ এবং অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নোটিসে তাকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর কথা বলা হয়েছে কেন স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে না।

ফজিলাতুন নাহার অভিযোগটি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা বুধবার ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেন এবং মিছিলসহ ক্যাম্পাসের আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। নবম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের আপা হিজাব পরতে নিষেধ করেননি, বরং সঠিকভাবে পরার নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্যানেল শিক্ষার্থীরা শেষ পিরিয়ডে কিছু ছাত্রীর সঙ্গে বাইরে গিয়ে কথা বলেছেন। এ সময়ের ১০ মিনিটের জন্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমরা আপার পুনর্বহাল চাই।”

দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী বলেন, “শিক্ষক ছাত্রীদের ড্রেসকোড মানতে বলেছেন। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।” সাবেক ছাত্রী আনিসা করিম বলেন, “আমি ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত পড়েছি। আপার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত চাই।”

ফজিলাতুন নাহার বলেন, “আমি এই কাজ করিনি। ২২ জন নয়, ৯–১১ জন শিক্ষার্থী ছিল। আমি হিজাব পরার নিয়মও জানিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “আমি মেয়েদের ক্লাস থেকে বের করিনি। শোকজ করা হয়নি। আমি আইনি পদক্ষেপ নেব।”

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, “অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। সত্য ঘটনা বের হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”