ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদের উপস্থিতিতে বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বেলা ১টার দিকে সভা শেষে বের হয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের বলেন, “কর্মপরিকল্পনার সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অনুমোদন হয়েছে, এখন শুধু টাইপিং চলছে।”
এদিন সংসদীয় আসনের সীমানা সংক্রান্ত শুনানিও শেষ হয়। বিকেলে এ বিষয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদের ব্রিফিং দেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গত ৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার পরদিনই নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
সিইসি জানিয়েছেন, ভোটের তারিখের প্রায় দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে কর্মপরিকল্পনা ও রোডম্যাপ প্রকাশ করবে ইসি।
রোডম্যাপে দল নিবন্ধন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ, পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কার, আচরণবিধিমালা জারি, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণসহ সংলাপ, মতবিনিময়, প্রশিক্ষণ, বাজেট বরাদ্দ, প্রচারণা ও আইটি-ভিত্তিক প্রস্তুতির বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো রোডম্যাপ ঘোষণা করে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা প্রকাশের ধারা বজায় রয়েছে। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় শিগগিরই নতুন কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করতে যাচ্ছে ইসি।