রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলা’র দরবার ও কবরস্থানে হামলা, ভাঙচুর এবং মরদেহ তুলে অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে অমানবিক ও বর্বরোচিত বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শুক্রবার রাতে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “এই অমানবিক ও ঘৃণ্য কাজটি আমাদের মূল্যবোধ, আইন এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক ও সভ্য সমাজের মৌলিক ভিত্তির ওপর সরাসরি আঘাত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গোয়ালন্দের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। কোনোভাবেই এই ধরনের বর্বরতা সহ্য করা হবে না।”
সরকার আরও জানায়, আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং প্রতিটি মানুষের জীবন ও মর্যাদা জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পরেও সুরক্ষিত রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিবৃতিতে জনগণকে আশ্বস্ত করে বলা হয়, “এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হবে এবং আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়।”
এ ছাড়া সহিংসতা ও ঘৃণা প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, “দেশের প্রতিটি নাগরিককে অনুরোধ করছি, সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন এবং ন্যায়বিচার ও মানবতার আদর্শ সমুন্নত রাখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালান।”