বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

বরিশালে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার পর লাশ গুম করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রকিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন—বরিশালের হিজলা উপজেলার পূর্ব কোড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইস্রাফিল আকনের ছেলে কবির আকন ও একই গ্রামের মোসলেম বেপারীর ছেলে জব্বার বেপারী। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। জাসার পাশাপাশি দুজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানিয়েছেন।

মামলার বরাতে আজিবর বলেন, মামা বাড়ি থেকে বেরিয়ে ২০১৩ সালের ২৮ জুলাই সকালে খাদিজা বেগম একা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন পূর্ব কোড়ালিয়া গ্রামের হামিদ হাওলাদারের বাগানের পাশে শিলনিয়া খালের মধ্যে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় খাদিজার মামা মোক্তার হোসেন ৩০ জুলাই বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হিজলা থানায় মামলা করেন। বরিশাল গোয়েন্দা পুলিশের এসআই নুরুল ইসলাম তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি দুজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, বাড়ি যাওয়ার সময় কবির আকন খাদিজা বেগমকে টেনে হিঁচড়ে হামিদ হাওলাদারের বাগানের মধ্যে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর জব্বার এসে আবার তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার ভয়ে খাদিজাকে হত্যা করে তার লাশ বাগানের পাশে শিলনিয়া খালের মধ্যে ফেলে রাখে তারা। পরদিন তার লাশ ভেসে উঠলে ভাই ও মা সনাক্ত করে।

এ মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় ১৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এক যুগ পর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হল বলে বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান।