রাকসু ভোট: উত্তেজনার মধ্যে ভোট পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে উত্তেজনা ও অস্থিরতার কারণে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ১৬ অক্টোবর।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-নির্বাচন কমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন তারিখ জানায়। কমিশন জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভায় বসে রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচন পূর্ববর্তী পরিস্থিতি বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান পরিস্থিতি কোনোভাবেই নির্বাচন আয়োজনের জন্য অনুকূল নয়। এজন্য দুটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলছে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়নি।

নির্ধারিত ভোটের দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল, প্রার্থী ও ছাত্র সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার ভোটের দাবিতে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এরপর বামপন্থি ছাত্র সংগঠন ও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে স্লোগান তোলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছাত্রদলও ভোট পেছানোর দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেন।

নির্বাচন ভবনের সামনে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভবনের পশ্চিম পাশে ইসলামী ছাত্রশিবির, মাঝখানে বামপন্থি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এবং পূর্ব পাশে ছাত্রদল অবস্থান নেয়। এই অবস্থার মধ্যেই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নির্বাচন কমিশন ভোট পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর নতুন তারিখ ঘোষণা করে।

মূলত ২৫ সেপ্টেম্বর রাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী মনোনয়ন জমা, বাছাইয়ের পর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছিল এবং প্রচারও শুরু হয়েছিল। তবে ‘শিক্ষক লাঞ্ছিতের’ ঘটনার পর ক্যাম্পাসে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এবং শিক্ষার্থীদের হল ও মেস ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রবণতার কারণে কয়েকটি প্যানেল ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। যদিও ইসলামী ছাত্রশিবির নির্ধারিত দিনেই ভোটের দাবি জানিয়েছিল।

সবশেষে নির্বাচন কমিশন জানায়, এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রাকসু নির্বাচন উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের স্বার্থে ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ১৬ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।