খাগড়াছড়ির গুইমারায় সহিংসতায় নিহত তিনজনের পরিচয় প্রকাশ করল পুলিশ

মারমা স্কুলছাত্রীকে ‘ধর্ষণের’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় খাগড়াছড়ির গুইমারায় নিহত তিনজনের পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ।

তিনজনই গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নে বসবাস করতেন; তাদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। নিহতরা হলেন— রামসু বাজার এলাকার আলাকাই মারমার ছেলে তৈইচিং মারমা (২০), আমতলী পাড়ার থুহলাঅং মারমার ছেলে আথুইপ্রু মারমা (২১) এবং চেং গুলি পাড়ার হাসু মারমার ছেলে আখ্রাউ মারমা (২২)।

নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার তথ্য দিয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবীব পলাশ জানান, সহিংসতায় মোট ১০ জন আহত হন। এদের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, বাকিদের ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে।

খাগড়াছড়িতে চলমান উত্তেজনা শুরু হয় বুধবার। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ‘অচেতন অবস্থায়’ ক্ষেত থেকে এক মারমা কিশোরীকে উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেন। মামলার পরের দিন ভোরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় খাগড়াছড়িতে, যা এক সময় সহিংস আকার ধারণ করে। ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি অতিরিক্ত সেনা ও বিজিবি মোতায়েনের পরও পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।

রোববার ১৪৪ ধারার মধ্যেই গুইমারায় ব্যাপক সহিংসতা হয়। সেখানে গুলিতে নিহত হন তিনজন।