পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কড়া জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান বলেছে, আজ শনিবার তারা ভারত ও ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস’।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, পাল্টা হামলাগুলোর মধ্যে একটি হয়েছে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরের বিয়াস এলাকায়, যেখানে ভারতের ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রের মজুতাগার রয়েছে।
‘ব্রহ্মস’ হলো একটি সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা সামরিক যান, সাবমেরিন, জাহাজ এবং যুদ্ধবিমান থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। এটি সর্বোচ্চ ৮০০ কিলোমিটার বা ৪৯৭ মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যা ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) এবং রাশিয়ার এনপিও মাশিনোসট্রোয়েনিয়ার যৌথ উদ্যোগ। ভারতের ব্রহ্মপুত্র নদ ও রাশিয়ার মস্কভা নদীর নাম মিলিয়ে এর নামকরণ করা হয়েছে।
‘বুনইয়ান-উন-মারসুস’ একটি আরবি শব্দগুচ্ছ, যার অর্থ ‘সুদৃঢ় প্রাচীর’। পাকিস্তান সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারত আমাদের দেশ, জনগণ ও সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাই আমরা এই জবাব দিয়েছি।’
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পাল্টা হামলা সম্পর্কে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ভারত।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে। এর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলা চালায় ভারত। সেই অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। হামলাগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন।