জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ নিয়ে চলমান সংকটের জন্য বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছে। দলটি ইসির পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে বুধবার আগারগাঁওয়ে ইসি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে এনসিপির জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “ইশরাক হোসেনের শপথ নিয়ে সৃষ্ট সংকট সরাসরি নির্বাচন কমিশনের সৃষ্টি। ইসি মামলায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা আপিল করেনি, যা স্পষ্টভাবে একটি দলের পক্ষপাতিত্ব প্রমাণ করে।”
**স্থানীয় নির্বাচন আগে, জাতীয় নির্বাচন পরে: এনসিপির প্রস্তাব**
নাহিদ ইসলাম জানান, জাতীয় নির্বাচন পেছানোর চক্রান্তের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, “আমরা জাতীয় নির্বাচনের বিরোধী নই, তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হবে।” তিনি প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত ডিসেম্বর-জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমাকে সমর্থন জানালেও গণপরিষদ নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় ভোটের ওপর জোর দেন।
**ঢাকা উত্তর সিটি প্রশাসক প্রসঙ্গে স্পষ্টতা**
ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই বলে উল্লেখ করেন নাহিদ। তিনি বলেন, “টেন্ডার না পাওয়া কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী তাকে বেআইনি ট্যাগ দিচ্ছে। সরকারের উচিত বিষয়টি তদন্ত করা।”
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ইসিকে ‘দলীয় মুখপাত্র’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “ইসি প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের আগেই মন্তব্য করে, যা তাদের পক্ষপাতিত্ব প্রমাণ করে।”
লিখিত বক্তব্যে এনসিপি দাবি করে, “২০২০ সালের ডিএসসিসি নির্বাচনই বর্তমান সংকটের মূল। জনপ্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ফ্যাসিবাদী আইনে গঠিত এই ইসি স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনে অক্ষম।”
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির হাসনাত আবদুল্লাহ, আরিফুল ইসলাম আদীব, তাসনিম জারা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।