জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবন এলাকায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে কড়া অবস্থান নেয় পুলিশ। ভবনের সামনের রাস্তায় কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
পুলিশের পাশাপাশি এলাকায় সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে কোস্ট গার্ড, র্যাব, বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (তেজগাঁও বিভাগ) ইবনে মিজান বলেন, “নির্বাচন ভবনের সামনে পুলিশ ও এপিবিএন মোতায়েন রয়েছে। আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা টহলে রয়েছেন।”
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে শপথ নেওয়ার দাবিতে চলমান অবস্থান কর্মসূচির মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে এনসিপি আগারগাঁওয়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “অনতিবিলম্বে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আমলে নিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এই দাবিতে এনসিপি বুধবার দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে।”
দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “বর্তমান কমিশনের উপর আস্থা রাখা যায় না। তারা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত না নিয়েই ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভবিষ্যতে তারা পক্ষপাতমূলক আচরণ করবে না, তার নিশ্চয়তা কী?”
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে পৌনে দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
ক্ষমতার পালাবদলের পর গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফলাফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে তাকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেয়। তবে এখনও তার শপথ অনুষ্ঠিত হয়নি।
ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে তার সমর্থকরা ইতিমধ্যে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
