আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। দেশজুড়ে ঈদের আমেজ, ছুটির ফাঁকে অনেকেই গ্রামে বা প্রিয়জনের কাছে পাড়ি জমিয়েছেন। তবে জাতীয় দলের ফুটবলারদের ছুটি নেই। ঈদের তিন দিন পর ১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর।
এই ম্যাচে জয় চাইছেন হাভিয়ের কাবরেরা। তাঁর ভাষায়, এটিই হতে পারে দেশবাসীর জন্য ‘ঈদের উপহার’। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের অনুশীলনের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে দেশবাসীকে ঈদের উপহার দিতে চাই।’
কাবরেরার কণ্ঠে ছিল আত্মবিশ্বাসের পাশাপাশি বাস্তবতা। ভুটানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জামালের কর্নার থেকে হামজা চৌধুরীর হেডে ম্যাচের প্রথম গোল এসেছিল ষষ্ঠ মিনিটেই।
সেই গোল নিয়ে সন্তুষ্ট কোচ, বিশেষ করে সেট পিস নিয়ে, ‘ভুটানের বিপক্ষে আমরা সেট পিস থেকে গোল করেছি। আর এ দিকটা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। গত তিন ম্যাচে আমরা সেট পিস থেকে কোনো গোল খাইনি। এটা ইতিবাচক। শেষ ম্যাচে তো ক্লিন শিটও হয়েছে।’
আক্রমণে জামাল ভূঁইয়ার খেলাও চোখে পড়েছে সবার। তবে কাবরেরা বলছেন, ‘এটা নতুন কিছু নয়। তিন বছর ধরে জামাল এভাবে খেলছে।’
যদিও বাস্তবে বেশির ভাগ ম্যাচে জামালের ভূমিকা দেখা গেছে রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডারের। রক্ষণকে সহায়তা করাই ছিল যাঁর মূল কাজ।
ভুটান ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে অনেক সুযোগ তৈরি হলেও এসেছে মাত্র দুটি গোল। ফিনিশিং নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও কাবরেরা এতে খুব একটা উদ্বিগ্ন নন, ‘আমরা দুটি গোল করেছি, আমি খুশি। ফিনিশিং অবশ্যই উন্নত করতে হবে, তবে এটাই ফুটবল।’
তবে কোচও জানেন, ভুটান আর সিঙ্গাপুর এক নয়। সিঙ্গাপুর গতকাল মালদ্বীপকে ৩–১ গোলে হারিয়েছে। তাদের ফরোয়ার্ড ইখসান ফান্দি ফিরেই করেছেন জোড়া গোল। এই বাস্তবতা মাথায় রেখে বাংলাদেশ কোচ পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করেছেন।