ভারত আর কখনোই ইসলামাবাদের সঙ্গে সিন্ধু পানি চুক্তি পুনর্বহাল করবে না এবং পাকিস্তানে প্রবাহিত পানি অভ্যন্তরীণ কাজে ব্যবহারের জন্য সরিয়ে নেবে বলে জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
শনিবার একটি সাক্ষাৎকারে শাহ বলেন, নয় বছর ধরে আলোচনা ও সমঝোতার পর বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে সিন্ধু পানি চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সিন্ধু নদ ও এর শাখা নদীগুলোর পানি বন্টন নিয়ন্ত্রণ করে।
কাশ্মীরের পাহেলগামে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের অভিযোগ, এই ঘটনার পেছনে পাকিস্তান রয়েছে। এরপর ভারত চুক্তি ‘স্থগিত’ করে। এই চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানের কৃষি সেচের ৮০ শতাংশ পানি নিশ্চিত হতো। পাকিস্তান এই হামলায় নিজেদের কোনো ভূমিকা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
গত মাসে দুই দেশের মধ্যে কয়েকদিনের লড়াইয়ের পর অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয় তারা। কিন্তু সিন্ধু পানি বণ্টনের গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিটি স্থগিতই থাকে।
অমিত শাহ বলেন, “না, এটি আর কখনোই পুনর্বহাল হবে না। একটি খাল নির্মাণ করে পাকিস্তানে প্রবাহিত পানি আমরা রাজস্থানে নিয়ে যাবো। পাকিস্তান পানির অভাবে ভুগবে, যা তারা অন্যায্যভাবে পাচ্ছিল।”
শাহর এই মন্তব্যে সিন্ধু চুক্তি নিয়ে ভবিষ্যতে আলোচনার সম্ভাবনা কমে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পূর্বে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ভারত পাকিস্তানে প্রবাহিত একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী থেকে পানি প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছে।
ভারতের এই পদক্ষেপের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। তবে অতীতে তারা বলেছিল, চুক্তিতে কোনো এক পক্ষের একতরফাভাবে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই এবং পাকিস্তানের দিকে পানি আটকে দেওয়ার প্রচেষ্টা ‘যুদ্ধের উস্কানি’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
ভারতের সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত হচ্ছে পাকিস্তান।
