মধ্যপ্রাচ্যে অন্তত ১২টির বেশি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, যেখানে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার সামরিক ও বেসামরিক মার্কিন নাগরিক অবস্থান করছেন। এসব ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটিগুলো ইরানের সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ইতিমধ্যে কাতারের আল উদেইদ ঘাঁটিতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
কাতার
আল উদেইদ ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতির অন্যতম প্রধান ঘাঁটি। এখানে সেন্টকমের ফরওয়ার্ড হেডকোয়ার্টার ও বিমান বাহিনীর ৩৭৯তম এয়ার এক্সপেডিশনারি উইং রয়েছে। ঘাঁটিতে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন।
বাহরাইন
মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম ফ্লিটের সদর দপ্তর এখানেই। ‘ন্যাভাল সাপোর্ট অ্যাক্টিভিটি বাহরাইন’ ঘাঁটিতে নৌবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৯ হাজার মার্কিন সদস্য আছেন। এখানে রয়েছে মাইন বিধ্বংসী জাহাজ ও কোস্টগার্ডের র্যাপিড রেসপন্স বোট।
কুয়েত
ক্যাম্প আরিফজান মার্কিন সেনাবাহিনীর লজিস্টিক ও অপারেশনাল হাব। আলী আল-সালেম বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন ৩৮৬তম এয়ার এক্সপেডিশনারি উইং। দুই ঘাঁটিতে প্রায় ১৩,৫০০ মার্কিন সেনা রয়েছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)
আল ধাফরা বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে ৩৮০তম এয়ার এক্সপেডিশনারি উইং এবং ড্রোন স্কোয়াড্রন।
ইরাক
বর্তমানে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন, মূলত আল আসাদ ও ইরবিল ঘাঁটি থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পূর্বে ছিল ১.৬ লাখ সেনা। ইসলামিক স্টেট প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এখানে কাজ করছে।
সিরিয়া
সিরিয়ায় প্রাথমিকভাবে ইসলামিক স্টেট প্রতিরোধে মোতায়েন ছিল প্রায় ২ হাজার সেনা। বর্তমানে আটটি ঘাঁটি থেকে একটিতে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তুরস্ক ও জিবুতিতেও যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি রয়েছে। যা অন্যান্য আঞ্চলিক কমান্ডের অংশ হলেও প্রায়শই মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অভিযানের সময় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
মধ্যপ্রাচ্যে অন্তত ১৯টি স্থানে মার্কিন সামরিক স্থাপনা রয়েছে। লোহিত সাগরে হুথিদের হামলা, ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে তাদের সামরিক তৎপরতা জোরদার করেছে।
