গুমে সেনাসদস্য জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা, নির্বাচনের জন্যও প্রস্তুত সেনাবাহিনী

বিগত সরকারের সময়ে গুমের ঘটনায় সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সেনা সদরদপ্তর।

বৃহস্পতিবার সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে সংবাদ সম্মেলনে মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ডেপুটেশনে থাকা কিছু সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে। প্রমাণ মিললে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুক্তভোগী পরিবার সহযোগিতা চাইলে, সব ধরনের সহায়তার আশ্বাসও দেন তিনি।

গুমের ঘটনায় গঠিত সরকারি কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ঘটনার পেছনে মূলত পুলিশ, র‍্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জড়িত। তবে সেনা সদস্যরা ডেপুটেশনে গিয়ে দায়িত্ব পালন করতেন এবং সরাসরি সেনাবাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণ করত না।

প্রতিবেদনে ডিজিএফআই পরিচালিত ‘আয়নাঘর’সহ কয়েকটি গোপন বন্দিশালারও উল্লেখ রয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠানগতভাবে দায়ী নয়, তবে তাদের অফিসাররা ডেপুটেশনে এ কাজগুলো করেছেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে কর্নেল শফিকুল বলেন, এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি, তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত। গেল আন্দোলনের সময় লুট হওয়া প্রায় ১২ হাজার অস্ত্রের মধ্যে ৯ হাজারের বেশি উদ্ধার করা হয়েছে।

কেএনএফ বিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রুমায় সেনা অভিযানে দুইজন নিহত হয়েছে, যা পাহাড়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং মানুষ ফিরতে শুরু করেছে।