জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর তিনটি থানায় করা পৃথক তিনটি হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আদালতের আদেশে সালমান এফ রহমান ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে তিন দিন করে এবং আনিসুল হককে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সকালে আসামিদের আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তারা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড আবেদন করেন।
যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে আসামির পক্ষে তার আইনজীবী আব্বাস উদ্দিন রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর ভাটারা থানার মনির হোসেন হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ওমর ফারুক ফারুকী শুনানি করলেও আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। আদালত তাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাড্ডা থানার আব্দুল জব্বার হত্যা মামলায় আনিসুল হকের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন শুনানি হয়। এখানেও রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ওমর ফারুক ফারুকী। আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ভাটারার মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বাঁশতলা এলাকায় আন্দোলনে গুলিতে আহত হন মনির হোসাইন। পরে ২০ জুলাই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার ভাই পারভেজ ফরাজী ২ অক্টোবর ভাটারা থানায় মামলা করেন।
আনিসুল হকের মামলায় বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট বাড্ডার ডিআইজি প্রজেক্ট এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন আব্দুল জব্বার সুমন। সন্ধ্যায় গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে মারা যান তিনি। ১৯ আগস্ট তার মা বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন।
যাত্রাবাড়ীর মামলায় বলা হয়েছে, ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় কাজলা ফুটওভার ব্রিজ এলাকায় আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মো. রাসেল।