গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশস্থলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও বোমাবাজি করা হয়েছে।
বুধবার বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিতে দিতে শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় বলে অভিযোগ এনসিপি নেতাকর্মীদের।
এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয় এবং সাউন্ড সিস্টেম, চেয়ার-মাইক ভাঙচুর করা হয়। বিশৃঙ্খলার মধ্যে পুলিশ হামলাকারীদের কোনোভাবে ঠেকানোর চেষ্টা করেনি বলেও অভিযোগ তোলেন এনসিপির নেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। সমাবেশমঞ্চে তখন স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের আসার পর মূল সমাবেশ শুরু হওয়ার অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় খাল পেরিয়ে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য বোমাবাজি শুরু করে। এরপর মঞ্চের ব্যানার ছিঁড়ে চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করে তারা।
হঠাৎ হামলায় হতভম্ব হয়ে অনেক এনসিপি কর্মী দৌড়ে সরে যান। তবে কিছু সময়ের মধ্যে তারা ফিরে এসে প্রতিরোধের চেষ্টা করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহর সমাবেশস্থলে পৌঁছালে সমাবেশ পূর্ণোদ্যমে শুরু হয়।
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। এর অংশ হিসেবে বুধবার গোপালগঞ্জে পদযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
কেন্দ্রীয় নেতাদের আসার আগে সকালে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় ছাত্রলীগের কর্মীরা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য মারধরের শিকার হন বলে সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান জানান।
এরপর বেলা ১১টার দিকে টেকেরহাট সড়কের কংশুর এলাকায় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় গাড়িচালক মইন আহত হন।
কেন্দ্রীয় নেতারা পৌর পার্কে পৌঁছানোর ঠিক আগে বৃষ্টির মধ্যেই সমাবেশমঞ্চে হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে সকালে সদর উপজেলার গান্ধীয়াশুর এলাকায় ঘোনাপাড়া-টেকেরহাট আঞ্চলিক সড়কে গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।